আন্দোলন সনদ/খসড়া প্রণয়ন কমিটি/আচরণবিধি
প্রত্যাশা সমূহ
এমসিডিসি সদস্যদের কাছ থেকে যা যা আশা করা হয়:
- সর্বজনীন আচরণবিধি মেনে চলা;
- আন্দোলন সনদ খসড়া প্রণয়ন কমিটির (এমসিডিসি) নীতিগুলো পূরণ করা;
- কমিটির অভ্যন্তরীণ আলোচনা যথাযথ আস্থা সহকারে সংরক্ষণ করা। (দ্রষ্টব্য: কমিটির অভ্যন্তরীণ আলোচনার ক্ষেত্রে চ্যাথাম হাউসের নিয়ম অনুসরণ করা।)
- কমিটির কার্যক্রম ও আলোচনায় সম্পৃক্ত থাকা
পরিকল্পিত বিরতি
- যখন একজন সদস্য বিশ্বাস করেন যে তিনি ৭ দিন বা এর চাইতেও বেশি সময়ের জন্য কমিটির কার্যক্রম এবং আলোচনায় অংশ নিতে পারবেন না, তখন তার উচিত কমিটিকে ই-মেইলের মাধ্যমে আগেই অবহিত করা *এবং* এমসিডিসির ছুটি/অনুপস্থিতির সময়সূচীতে (অ-সর্বজনীন নথি) তাদের অনুপস্থিতির প্রত্যাশিত সময় চিহ্নিত করা।
- একজন সদস্য যেকোনো ছয় মাস সময়ের মধ্যে সর্বোচ্চ তিন (৩) বার পরিকল্পিত ও অপরিকল্পিত অনুপস্থিতির মাঝে থাকতে পারবেন এবং অনুপস্থিতির সময়সীমা ৩০ দিনের বেশি হবে না।
নিষ্ক্রিয়তা
- একজন সদস্যকে নিষ্ক্রিয় হিসাবে বিবেচনা করা যেতে পারে যখন:
- কমিটিতে ইমেলের মাধ্যমে সদস্যদের আগে থেকে বা সরাসরি মিটিংয়ের আলোচ্যসূচিতে না জানিয়ে তিনি পরপর তিনটি পূর্ণ কমিটির বৈঠকে যোগ দিতে ব্যর্থ হন।
- তিনি ব্যাখ্যা ছাড়াই ৩০ দিন সময়ের মাঝে সরাসরি কোনো যোগাযোগের প্রতিক্রিয়া জানাতে ব্যর্থ হন।
- তিনি ব্যাখ্যা ছাড়াই ৩০ দিন সময়কালের মাঝে পরামর্শ, উপকমিটির মিটিং বা অনিয়মিত কার্যকলাপে অংশগ্রহণ করতে ব্যর্থ হন।
- অভিযোগ পেলে নিষ্ক্রিয়তার বিষয়টি উপকমিটি তদন্ত করবে। অভিযোগকারী নিষ্ক্রিয়তার প্রমাণ প্রদান করতে পারবে।
অপসারণ
- অপসারণ বলতে বুঝানো হয় কমিটিতে একজন সদস্যের অংশগ্রহণের উপর স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা।
- একজন সদস্যকে অপসারণ করা হতে পারে যখন:
- তিনি কমিটির অভ্যন্তরীণ আলোচনা ও সুচিন্তিত পর্যালোচনায় যথাযথ আস্থা রাখতে ব্যর্থ হন।
- তিনি কমিটির অনুমোদিত অনুপস্থিতির সময়সীমা অতিক্রম করেন।
- কমিটি তাকে নিষ্ক্রিয় ঘোষণা করে।
- কমিটির মধ্যে বা উইকিমিডিয়া প্রকল্পে কিংবা উইকিমিডিয়া-স্পন্সরকৃত আয়োজনে (অনলাইনে বা অফলাইনে) তিনি সর্বজনীন আচরণবিধির তালিকাভুক্ত যেকোনও অগ্রহণযোগ্য আচরণ করেন।
- তিনি কমিটি-সম্পর্কিত অ-প্রকাশ্য চুক্তি লঙ্ঘন করেন
- তিনি স্বার্থের সঙ্ঘাত ঘোষণা করতে ব্যর্থ হন
- কমিটি অপসারণের বিকল্প হিসাবে, কেস-বাই-কেস ভিত্তিতে সাজাহীন সঙ্ঘাত সমাধানের বিকল্প উপায়ও বিবেচনা করতে পারে।
বাস্তবায়ন
- ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে তিন সদস্যের একটি উপকমিটি তৈরি করা হবে। সেই উপকমিটি যেকোন সদস্যের বিষয়ে যে কোন অভিযোগ গ্রহণ ও প্রক্রিয়াকরণের জন্য দায়ী থাকবে।
- সকল এমসিডিসি সদস্যরা চক্রাকারে উপকমিটিতে দায়িত্ব পালন করবেন। অন্য সকল সদস্যরা চক্রাকারে দায়িত্ব পালন করার আগ পর্যন্ত এমসিডিসি সদস্যদের উপকমিটিতে দ্বিতীয় বা পরবর্তী চক্রে নাও নেওয়া হতে পারে।
- যদি বর্তমান উপকমিটির একজন সদস্য অভিযোগের সাথে জড়িত থাকে, তবে তাকে অবশ্যই অন্য এমসিডিসি সদস্য দ্বারা প্রতিস্থাপিত করতে হবে।
- উপ-কমিটি যেকোন অভিযোগের বিষয়ে তথ্য সংগ্রহের জন্য দায়ী থাকবে এবং এমসিডিসির সাধারণ সভায় মামলাটি শুনানির জন্য উপস্থাপন করবে।
অভিযোগ প্রদান ও তদন্ত
- অভিযোগগুলি অবশ্যই ই-মেইলের মাধ্যমে পাঠাতে হবে এবং শুধুমাত্র উপকমিটির কাছে নির্দেশিত করতে হবে। উপকমিটি সামগ্রিকভাবে কমিটির কাছে কোনো অভিযোগ রিপোর্ট করবে, তবে উপকমিটি পরবর্তী পদক্ষেপের জন্য দায়ী থাকবে।
- অভিযোগ গৃহীত হলে, উপকমিটি অবশ্যই অভিযোগকারীকে ইমেইল, এমসিডিসি টেলিগ্রাম চ্যানেল ও (যেখানে প্রযোজ্য) মেটা উইকি ব্যবহারকারী আলাপ পাতার মাধ্যমে আসন্ন প্রক্রিয়া সম্পর্কে অবহিত করবে।
- শুনানির তারিখ নির্ধারণ করবে কমিটি। উপকমিটি ও প্রশ্নবিদ্ধ ব্যক্তি উভয়কেই শুনানিতে বিবেচনার জন্য তাদের যুক্তি উপস্থাপন করার অনুমতি দেওয়া হবে।
ভোটগ্রহণ ও প্রয়োগ
- যদি এমসিডিসি একজন সদস্যকে অপসারণের বিষয়ে ভোট দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়, তবে এমসিডিসি-এর প্রত্যেক সদস্যকে অপসারণের প্রস্তাবে ভোট দেওয়ার অনুমতি দেওয়া হবে। সম্ভাব্য প্রতিহিংসা এড়াতে সহায়তা কর্মীদের নিশ্চিত করা উচিত যে ভোটদান প্রক্রিয়াটি বেনামী হবে।
- অপসারণ প্রক্রিয়ার কার্যকর করার জন্য কমিটির যোগ্য সদস্যদের দুই-তৃতীয়াংশের (রাউন্ডিং আপ) সমর্থন প্রয়োজন। যদি প্রক্রিয়াটি প্রথম রাউন্ডে ভোট অর্জন করতে ব্যর্থ হয় তবে এটি সংশোধন করা যেতে পারে এবং দ্বিতীয়বার ভোটের জন্য উপস্থাপন করা যেতে পারে। যদি প্রক্রিয়াটি তারপরও প্রয়োজনীয় ভোট অর্জন করতে ব্যর্থ হয়, তবে এটি বাতিল করা হবে এবং পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে না।
- আলোচিত সদস্য বাদে কমিটির সকল সদস্য ভোট দেওয়ার যোগ্য। সদস্যরা নিজেদের ভোট দেওয়া থেকে প্রত্যাহার করে নিতে পারেন, সেক্ষেত্রে তাদেরকে সমর্থনের অনুপাত গণনায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে না। নিষ্ক্রিয় সদস্যদের সমর্থনের অনুপাত গণনায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে না যতক্ষণ না তারা ভোটে অংশ নিতে সক্রিয় হয়।
- এমসিডিসি-এর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আপিলযোগ্য নয়।